ব্রহ্মপুত্র ও দশআনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কামারের চর, চর পক্ষীমারী, বলাইর চর, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ও চরমুচারিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিচু এলাকার কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের অনেক স্থানে আউশ ধান ক্ষেত, বীজতলা, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়া দোকান নামক স্থানের কজওয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি বয়ে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করার পরও ঝুঁকি নিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করছে।
প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বাড়ছে। তবে শেরপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর কাছে পানি বিপদসীমার ১.৫৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ এ. এম পারভেজ রহিম চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন বিবরণ পাননি বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২৪