শরীয়তপুরে বন্যা দেখা দিয়েছে । গত ২৪ ঘন্টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি ঢুকে পরেছে ভেদরগঞ্জ, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ৫০ টি গ্রামে। পাানিবন্দি হয়ে পরেছে জেলার মোট ৫০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজারেরও অধিক মানুষ।
বাড়ির ভিতর পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে পদ্মা তীরবর্তী গ্রামের মানুষ। দুর্গত এলকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পরায় বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে এখন পর্যন্ত জেলায় কোন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি। অনেকেই ঘরের ভিতর মাচা পেতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলায় ত্রান কার্যক্রম শুরু না করায় অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে দুর্গতরা।
তবে দুর্গতদের নামের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে, তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুতই ত্রান তৎপরতা চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে বিকালে শরীয়তপুরের জাজিরার খানকান্দী গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সুচনা নামের ৩ বছরের শিশু মারা গেছে।
অন্যদিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতে সৃষ্ট প্রবল স্রোতের কারনে জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট থেকে গোসাইরহাট উপজেলার কোদলপুর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুরে তীব্র নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙ্গন কবলিতরা।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২৭