উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পদ্মার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পদ্মার ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী জমির ফসল। আর নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, জেলার মেঘনা, ধলেশ্বরী এবং ইসামতি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে রবিবার সকালে পদ্মা ছাড়া বাকি নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে গতকালের চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার। এ অঞ্চলে টানা কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী (ভাগ্যকুলপয়েন্ট) জয়নাল আবেদিন জানান, ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি ৫২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীর ঘেষা ঘর বাড়িতে পানি এসে গেছে।
এছাড়া জেলার শ্রীনগর, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পদ্মার নদীর তীরবর্তী সাথে অবস্থিত বাড়ি ঘরে পানি আসা শুরু করেছে। তবে নদী ভাঙ্গন দেখা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব