ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাদীপুরের একটি রাস্তার ১শ' মিটার ধসে গেছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর জমির নানা প্রজাতির ধানসহ সবজির ক্ষেত।
এদিকে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাটি পরিদর্শন করে সেখান দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নিজ হাতে বালির বস্তা ফেলে রাস্তাটি রক্ষার চেষ্টা করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর। এসময় তিনি বানভাসী মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বন্যার কারণে কাউকেই না খেয়ে থাকতে হবেনা। সরকার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসায় পানি উঠায় সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির মারাত্বক অবনতি হয়েছে। ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে নানা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বন্যার্ত এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পানিবন্দী পরিবার গুলো।
বিডি প্রতিদিন/৩১ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৩