নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ( আদিবাসী জনগোষ্ঠী ) জন্য বরাদ্দকৃত প্রকল্প গায়েব হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে 'বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা' শীর্ষক প্রকল্পে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) মো. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত গত ২০ শে এপ্রিল তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরিত ১২ পৃষ্ঠার এক পরিপত্র সূত্রে জানা যায়, বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহায়তা ( পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উপজেলার অনুকূলে বরাদ্দকৃত আয়বর্ধনমূলক প্রকল্পগুলো শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এবং তারাই প্রকল্পগুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া এই প্রকল্পের কোন পরিবর্তন করা যাবে না বা এই প্রকল্পের টাকা অন্য কোন খাতে ব্যয় করা যাবে না।
২০১৫- ১৬ অর্থবছরে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তায় কোড নং ৫৮২২ এর আওতায় এডিপি বরাদ্দকৃত দশ কোটি টাকা পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত দেশের প্রত্যেক উপজেলায় যেখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করে, এমন এলাকায় তাদের উন্নয়নের জন্য ভাগ করে দেওয়া হবে।
কিন্তু নাটোরের অন্য উপজেলায় এই অর্থ বরাদ্দ ও বণ্টন করা হলেও গুরুদাশপুর উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে কোন অর্থ বণ্টন করা হয়নি।
নাটোর জেলা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা রমানাথ মাহাতো জানান, নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নামে বরাদ্দের সাড়ে সাত লাখ টাকা খুবজীপুরে চলনবিল যাদুঘরের উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করে না।
নাজিরপুর ইউনিয়ন কমিটির আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাধানাথ মুন্ডা জানান, গুরুদাশপুরের নাজিরপুর ও চাপিলা ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোন ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নাই। অথচ বিধিবহির্ভূতভাবে খুবজীপুরে অন্য প্রকল্পে বরাদ্দ চলে গেছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।
আদিবাসীনেতা বজেন্দ্রনাথ মুন্ডা গুরুদাশপুরে আদিবাসীদের বরাদ্দের টাকা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আকতার জানান, প্রকল্প যথানিয়মে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখানে বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ