কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ায় গোপন বৈঠককালে আটক আরএসও নেতা ছালাউলসহ ৩ জনকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের হাবিলদার বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ৩ জন আটক ও ৮ জনকে পলাতক আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন।
আটককৃতরা হলেন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) নেতা হাফেজ ছালাউল ইসলাম, মৌলভী সৈয়দ করিম ও টাঙ্গাইলের মৌলভী ইব্রাহীম।
এর আগে, গত শনিবার দুপুরে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরের নতুন পাড়ায় মৌলভী সৈয়দ করিমের বাড়িতে যৌথ ট্রাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সৌদি নাগরিক আবু সালে আহমেদ আল গাম্বী, আরএসও নেতা হাফেজ ছালাউল ইসলাম, বাড়ির মালিক মৌলভী সৈয়দ করিম ও টাঙ্গাইলের মৌলভী ইব্রাহীমকে আটক করে বিজিবি ব্যাটলিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়।
সূত্র জানায়, উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া এলাকায় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এক গোপন বৈঠক চলছিল। তবে অনুমতিবিহীন এই বৈঠকের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সেখানে হানা দিয়ে সৌদি নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় বিদেশি নাগরিকসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাবাদ শেষে রবিবার গভীর রাতে আরএসও নেতা ছালাউলসহ ৩ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, রবিবার রাতে আরএসও নেতা ছালাউলসহ ৩ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে আটক ও পলাতকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পলাতক আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।।
বিডি-প্রতিদিন/০১ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব