বরিশাল সরকারী বিএম কলেজে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের তিন কর্মী আহত হয়েছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে এই হামলার সময় ক্যাম্পাসের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক মুসলিম হলের ২০৭ নম্বর কক্ষে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
আহত তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেছে। আহতরা কলেজ ছাত্র সংসদের আদলে গঠিত মেয়াদোত্তীর্ন ছাত্র কর্ম পরিষদের জিএস নাহিদের অনুসারী বলে জানিয়েছে সংশ্লিস্ট সূত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী বিএম কলেজের মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার বিকেলে কলেজের ছাত্র কর্ম পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ন ভিপি মঈন তুষার অনুসারী ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নার সহযোগী বহিরাগত শিপনের সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে নাহিদের অনুসারী কলেজের ছাত্র রফিকুল ইসলামের বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে বিকেলে তাদের মাঝে হাতাহাতির পর রফিকের সহযোগীরা তুষারের অনুসারী বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী শিপনকে মারধর করে।
বিকেলের ওই ঘটনার জের ধরে তুষারের অনুসারী ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নার নেতৃত্বে রাতে বহিরাগত শিপনসহ ১৫ থেকে ২০ জনের এক দল সন্ত্রাসী মুসলিম হলে হামলা চালায়। তারা হলের দ্বিতীয় তলায় ২০৭ নম্বর কক্ষে থাকা নাহিদের সহযোগী ছাত্রলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম, এ.এম অলি ও সজিব সিকদারকে ধারালো অস্ত্র, রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এ সময় ওই কক্ষও ভাংচুর করা হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক স.ম ইমানুল হাকিম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই হোটেল সুপারকে সেখানে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/০১ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-১৫