ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার কমে এখন বিপদসীমার ১শ' সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুরের সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বন্যার পানির তীব্র স্রোতে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ, নর্থচ্যানেল ও ডিক্রীরচর ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর জমির নানা প্রজাতির ধানসহ সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসায় পানি ওঠায় সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতরাতে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের বেরিবাঁধের কিছু অংশে ভেঙ্গে তীব্র স্রোতে আধাপাকা-কাঁচা পাকা বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে গেছে।
ফরিদপুর শহরের পুরাতন স্লুইস গেটটি পানির তীব্র চাপে হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় সেটি ভেঙ্গে শহরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে। স্লুইস গেটটি যাতে ভেঙ্গে যেতে না পারে সেজন্য সেখানে বালির বস্তা ফেলার কাজ চলছে। এছাড়া নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ভাংগা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন।
চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের বন্যার পানিতে পড়ে আলী হোসেন নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, বানভাসী পরিবারে প্রায় ৫শ' পরিবারের মাঝে চাল, ডাল ও আলু বিতরণ করেছেন, স্থাণীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ