শেরপুরের ঝিনাইগাতীর স্কুলছাত্র বিল্লাল হোসেন (১৪) হত্যা মামলার রায়ে তিন সহোদরসহ চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো-ঝিনাইগাতী উপজেলার কোনাগাঁও এলাকার মো. আবু জাফর ওরফে সুরুজ তার ছেলে মো. আল আমিন, ছোট দুই ভাই মো. মনিরুজ্জামান ওরফে হান্নান ওরফে মেন্দা এবং মো. দুদু মিয়া। এ মামলার রায়ে অপর ৫ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩ মে রাতে সাজাপ্রাপ্তরা প্রতিবেশী নূর ইসলামের স্কুলপড়ুয়া ছেলে বিল্লাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ৮ মে আরেক প্রতিবেশী রব্বানী মিয়ার বসতবাড়ির উত্তর পাশের স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ভেতর থেকে শিশু বিল্লালের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা নূর হোসেন ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ওই বছরের ৩১ আগস্ট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বিচার চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হলে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার বিকেলে আদালত পলাতক চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর ৫ জনকে খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ইমাম হোসেন ঠান্ডু রায়ে সন্তুুষ্টি জানিয়ে অবিলম্বে আসামিদের ধরে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবি মজদুল হক মিনু বলেন দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে গেলে ন্যায় বিচার পাবে।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ আগষ্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন