যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান বিশ্বাসকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাইচন্দ্র সাহা এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় খলিলুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার ভবন নির্মাণের দায়ে আদালত তার বিরুদ্ধে এই রায় দেন।
খলিলুর রহমান বিশ্বাস বাঘারপাড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর তিনি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। পরে ২০১১ সালের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগের যোগ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালে বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান ওরফে মশু বাদি হয়ে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। বাদির দাবি, দোহাকুলা হাট পেরিফেরির আধা শতক জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে তিনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। পরে নবগঠিত পৌরসভার তৎকালীন মেয়র খলিলুর রহমান বিশ্বাস বেআইনীভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদ করে সেখানে পৌরসভার ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেন। মামলাটির একমাত্র আসামি ছিলেন তৎকালীন মেয়র খলিলুর রহমান বিশ্বাস। জেলা ও দায়রা জজ পিটিশন মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে দুদক তদন্ত শেষে খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
দণ্ডপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানের আইনজীবী কাজী আবদুস শহীদ লাল জানান, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
বিডি প্রতিদিন/ ০২ আগষ্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন