মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে পদ্মা পারাপারের লক্ষে রাজধানীসহ দক্ষিণ- দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ভোগান্তির আশঙ্কায় রয়েছে ফেরিঘাটে। ভরা বর্ষা ও বৈরি আবহাওয়া ও পলিযুক্ত পদ্মায় পানির স্রোতের টানের কারণে এ নৌ চ্যানেলে ফেরী চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে মূলপদ্মায় লৌহজং টানিংয়ে বুধবার দুপুর থেকে বালু ও পাথরবাহী (বাল্কহেড) জাহাজ ডুবোচরে আটকে রয়েছে। বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি চলাচল। স্রোতের কারণে গত কয়েকদিন থেকে শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি রুটের ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ও উভয়মুখী সমস্যার কারণে ফেরি পারাপারে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হলে যে কোন সময় ফেরি চলাচল বন্ধহয়ে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে ঘরমুখো হাজার হাজার যাত্রীর। চরম দুর্ভোগে পড়তে পারেন তারা। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) খালিদ নেওয়াজ ও সহকারি মহাব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারীসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে,চলতি বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত ১০/১২ দিন ধরে শিমুলিয়া ঘাট থেকে লৌহজং টার্নিং পর্যন্ত বড় নদীতে স্রোত বিরাজ করতে শুরু করেছে।
স্রোতের তীব্রতা ক্রমেই বেশি করে দেখা দেওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে রো-রো ফেরি, কে টাইপ ও ডাম্ব ফেরিগুলো ঘাট ধরতে রাউন্ড ট্রিপে অতিরিক্ত আধাঘণ্টা সময় লাগছে। একইসাথে স্রোতের মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে নৌরুটে পানির স্রোতও ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে। ফলে ফেরি পারাপারেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। একইসাথে স্রোতের সাথে সাথে শিমুলিয়া চরজানাজাত নৌরুটের মুল পদ্মায় পলি প্রবাহ শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট জানা গেছে। এতে করে ঘোলা পানির পলি অতিমাত্রায় জমতে জমতে যে কোন মুহূর্তে যে কোন পয়েন্টে নৌরুটে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়ে নাব্যতা সঙ্কটের মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ।
এদিকে পদ্মায় উত্তাল থাকায় নৌরুটের ডাম্ব ফেরিসহ সকল ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূণ হয়ে পড়ে। রো রো, কে টাইপ ও মিডিয়াম ফেরিসহ মোট ১৭টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ৮টি। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাট দিয়ে ফেরিতে দক্ষিণবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার বন্ধ হয়ে পড়লে। চরম দুর্ভোগে পড়বে ঘাটে আটকে থাকা ফেরির যানবাহন ও যাত্রীরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ