ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা ও এনডিসি এইচ এম সালাউদ্দিন মন্জু।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট প্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, ঘুর্ণিঝড় পূর্ব ও পরবর্তী যে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা সদরসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাথমিকভাবে ১০০ মেট্রিকটন চাল ও ২ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দুর্গম চরাঞ্চলসহ জেলার ৮ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গম এলাকার মানুষজনকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মাঠ পর্যায়ে যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হালকা থেকে মাঝারি বৃস্টিপাত হচ্ছে জেলার সর্বত্র। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। পায়রা সমুন্দ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। নদী বন্দরকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় জেলার সকল রুটে ছোট-বড় সব ধরনের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ঢাকাগামী ডবল ডেকারের লঞ্চ পটুয়াখালী ছেড়ে গেছে।
মহিপুর-আলীপুর-ঢোস-মৌডুবিসহ জেলার সকল মৎস্য বন্দরের বেশীর ভাগ মাছধরা ট্রলার তীরে ফিরতে শুরু করেছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর উত্তাল রয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৫ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৬