দক্ষিণবঙ্গের ২ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফের ফেরিস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফেরিবহরে ৪টি রো রো ফেরিসহ মোট ৬টি ফেরিস্বল্পতা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে এ নৌরুটে চলাচল করছে মোট ১২টি ফেরি। তবে পদ্মা নদীতে পানিস্বল্পতা ও নাব্যতা সঙ্কট থাকায় বর্তমানে এরুটে চলাচলরত ফেরিগুলোর কোনটিই ফুললোড নিতে পারছে না। এতে করে রো রো ফেরিবিহীন এ নৌরুটে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন পারাপার।
এদিকে ফেরিস্বল্পতার কারণে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যানসহ যাত্রীবাহী ছোট-বড় সব ধরণের যানবাহন মিলিয়ে প্রায় ২শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল বলে ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে বিআইডব্লিউটিসি ফেরী কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মা নদীতে যথোপযুক্ত পানির ড্রাফট বা গভীরতা না থাকার কারণে ইতোমধ্যেই এ রুটের মোট ৪টি রো রো ফেরীর ৩টিই প্রপেলার,বুশসহ ইঞ্জিন ত্রুটির জন্য একের পর এক নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। বাকি একটিও গত দু’দিন ধরে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেটি শিমুলিয়ায় ভাসমান কারখানায় মেরামতের কাজ করা হচ্ছে ।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ফেরি কর্তৃপক্ষ গত দেড় মাস আগে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও জাহাঙ্গীর মেরামতের জন্য শিমুলিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠায়। এর কিছুদিন পরেই রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরও মেরামতের জন্য শিমুলিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। একইসাথে গত ২/৩দিন আগে রো রো ফেরি শাহ পরাণ মেরামতের জন্য শিমুলিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠায় ফেরি কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে গত দুদিন ধরে রো রো ফেরি শাহ আলীও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শিমুলিয়া ৩নং রো রো ঘাটে মেরামতের কাজ চালানো হচ্ছে।
ফেরিবহরের আরো একটি কে টাইপ ফেরি কামিনীকে শিমুলিয়া ভাসমান কারখানায় মেরামতের জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে বুধবার সকালে অপর একটি কেটাইপ ফেরী কলমীলতা শিমুলিয়া থেকে চাঁদপুর – হরিণাঘাট রুটে স্থানান্তর করে ফেরী কর্তৃপক্ষ। এতে করে এ রুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে ৬টি ডাম্পু ফেরি, একটি মিডিয়াম ও ৫টি কেটাইপ ফেরিসহ মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। তবে বিকেলের আগেই শিমুলিয়া ভাসমান কারখানায় থাকা দুইটি ফেরি নৌরুটে চলাচল করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) খন্দকার খালিদ নেওয়াজ ও সহকারী প্রকৌশলী রবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ বুধবার দুপুরে জানান, পদ্মা নদীতে যথোপযুক্ত পানির ড্রাফট বা গভীরতা না থাকার কারণে ইতোমধ্যেই এ রুটের মোট ৪টি রো রো ফেরির ৩টিই প্রপেলার,বুশসহ ইঞ্জিন ত্রুটির জন্য একের পর এক নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। বাকি একটিও গত ২/৩দিন ধরে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে সেটি শিমুলিয়ায় ভাসমান কারখানায় মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। বিকেলের মধ্যেই ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনগুলো পারাপার সম্ভব হবে বলে তারা আশা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-২১