স্বোমেস্বরীর পাড়ে এবার ১০০ ড্রাম বাজিয়ে ওয়ানগালা উৎসব অর্থাৎ নবান্ন পালন করেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের গারোরা। গারোদের মান্দি ভাষায় 'দক্কে দাম্মে খুশি অংঙে আনসেং আৎনা আসংখো' আর বাংলায় 'সুরে ছন্দে আলোকিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি' শ্লোগান ছিল এবারের উৎসব প্রতিপাদ্য। প্রতি বছর গারো সম্প্রদায় এ ওয়ানগালা উৎসব করে থাকে। এই প্রথম ১০০ ড্রাম বাজিয়ে শুক্রবার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির কালচারাল একাডেমির জিবিসি মাঠে দিনব্যাপী এ আয়োজন করে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন বাঙ্গালি-ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসব। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ -১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। পরে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির কালচারাল একাডেমির পরিচালক শুভ্র চিরান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং, গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন সভাপতি তনয়ানন্দ রেমা। সভায় বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক চেতনা বিকাশে ওয়ানগালার মতো অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উৎসবে দেশের বিভিন্নস্থানের গারো শিল্পী দলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়। শেষে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি কালচারাল একাডেমির পরিচালনায় ‘রুগালা ও সাসাৎ সওয়া’ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। উৎসবে অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি বাঙ্গালি-ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষেরা। প্রতি বছরই এরকম অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানান তারা।
বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির কালচারাল একাডেমির পরিচালক শুভ্র চিরান বলেন, ব্যক্তি ও সমাজের সাংস্কৃতিক নীরবতাকে জাগিয়ে তুলতেই আয়োজন করা হয়েছে ১০০ ড্রাম ওয়ানগালা উৎসবের।
বিডি প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা