বাকশক্তি নেই, হাত-পা দুর্বল, স্মৃতি শক্তির স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা নিয়ে পিএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মুস্তাহিদ আবরার তাসপি। দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও তার সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় সমস্যাগুলো। এত এত প্রতিবন্ধকতা তাসপির স্বপ্ন দেখার সাহসটাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার লক্ষ্য, ভবিষ্যতে শিক্ষক হয়ে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউপি সচিব মুহাম্মদ আয়ুব আলী ও গৃহিনী তাজনিন জান্নাত (রুমা) দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে তাসপি বড়। জন্ম থেকে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তাসপি। ২০১৩ সালে মা তাজনিন জান্নাত তাসপিকে লামা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করে দেয়। ভর্তির পর থেকে স্কুলশিক্ষক, গৃহশিক্ষক ও নিজেদের অক্লান্ত চেষ্টা ছিল তাসপিকে পড়াশুনো শেখানোর।
তাসপির মা তাজনিন জান্নাত জানান, কেউ ব্যঙ্গ করলে ও খুব কষ্ট পায়। বিদ্যালয়ের খেলাধুলায় ওর অংশ নেয়ার খুব ইচ্ছা। কিন্তু বিধাতা ছেলেটাকে শক্তি দেয়নি। ফলাফলের পর ওকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেবো।
লামা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান জানান, ছেলেটা অত্যন্ত মেধাবী। লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ অনেক।
পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মোজাম্মেল হক বলেন, তাসপিকে আলাদা কক্ষে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে চেয়েছি। কিন্তু সে অন্যান্য শিশুদের মধ্যে থেকে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী।
বিডি প্রতিদিন/২২ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা