ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে চলমান আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে 'কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটি।'
বুধবার নগরীর সার্কিট হাউজে ধর্মমন্ত্রী, স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
সার্কিট হাউজে ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে বেলা ১২টা থেকে একটানা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও ফুলবাড়িয়া কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটির আহবায়ক এস.এম.আবুল হাসেম, যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ফজলুল হক, সহকারী অধ্যাপক মো: ইউনুস আলী।
সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, ‘সভায় কলেজ সরকারীকরনের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আগামী এক মাসের জন্য আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।’
ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটির আহবায়ক এস.এম.আবুল হাসেম বলেন, ‘সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে কলেজটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করবে। এই এক মাস সকল কর্মসূচি স্থগিত রাখা হবে। এবং সরকারিকরনের কাজ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এগিয়ে যাবে।’
ফুলবাড়িয়া কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঘটনায় দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের জামিনের সব রকমের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়েছে বৈঠকে।’
এদিকে বুধবার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাদের সাথে থাকা স্থানীয় ইউএনও লীরা তরফদারকে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলকাবাসী ধাওয়া দেয়। পরে তিনি পুলিশের সহযোগীতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিশনার ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর আক্তার হোসেন পরিদর্শন কালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। কোন মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। হত্যাকান্ডসহ শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।