রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় বাঙালিদের দুই একর জমির আনারস বাগান কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার মধ্যরাতে নানিয়ারচর উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট মধ্যমপুলি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বাগানে প্রায় ৮২ হাজার আনারস গাছ ছিল বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক মো. জামাল সিকদার ও মধুমিয়া। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পার্বত্য সম-অধিকার আন্দোলনের উপজেলা নেতা মো. কবির হোসেন জানান, নানিয়ারচর উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট মধ্যমপুলি পাড়ায় উথুই মং মারমা ও অংসুই প্রু মারমার নেতৃত্বে একদল উপজাতি মধ্যরাতে জামাল সিকদার ও মধু মিয়ার আনারস বাগানে হানা দেয়। এসময় তারা দুই একর বাগানের সব ছোট বড় আনারস কেটে ধ্বংস করে দেয়। বাগানে প্রায় ৮২ হাজার আনারস গাছ ছিল। তবে কী কারণে তারা হঠাৎ সুবিধা বঞ্চিত গরিব বাঙালিদের বাগান কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটা সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার ইস্যু হতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্থ আনারস বাগান মালিক মো. জামাল সিকদার ও মধুমিয়া অভিযোগ করে বলেন, ৩ বছরের জন্য এ জমি লিজ নিয়ে আনারস চাষ করেছেন তারা। তাই জমি নিয়ে কারো সাথে বিরোধও ছিল না। এ বাগানে প্রায় ৮২ হাজার চারাগাছ তারা রোপন করেছিলেন। আর কিছু দিন পর পুরো বাগান জুড়ে আনারসে ভরে যেত। কিছু কিছু গাছে ফলনও এসেছে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এতো কষ্টের বাগান নষ্ট করে দিয়েছে। সব হারিয়ে এখন তারা প্রায় নিঃস্ব। তারা প্রশাসনের কাছে এর বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এদিকে নানিয়াচরে দুর্বৃত্তরা বাঙালিদের আনারস বাগান কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে ও উপজেলায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় বাঙালী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপরে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ২০১৪ সালে এভাবে আনারস বাগান ধ্বংস করে কিছু দুষ্কৃতি সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরি করেছিল। এবার যাতে এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ