কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর রহিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে এগাসিন্দুর ইউনিয়নের মীরারটেক এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এক সপ্তাহ আগে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যোওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এসময় রহিমার সঙ্গে তার দুই মাস বয়সী নবজাতক শিশু থাকলেও তার কোন হদিস মিলছে না।
রহিমা পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরোদিয়া ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের মৃত মো. আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহিমা কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সাবেক স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর একই গ্রামের সোহরাবের ছেলে নজরুল ইসলাম মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতি হয়ে পড়লে মেয়েটির আত্মীয়রা বিয়ে করার জন্য নজরুলকে চাপ দেয়।
এরই মধ্যে গত ২ মাস আগে রহিমার একটি ছেলে সন্তান হয়। গত ১০ জানুয়ারি চাপের মুখে নজরুল রহিমাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর তিনদিন পর ১৩ জানুয়ারি বেড়ানোর কখা বলে সন্তানসহ রহিমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু নজরুল তিনদিন পর বাড়ি ফিরে এলেও রহিমার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনার পর থেকে রহিমার স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়।
বিডি প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি ২০১৬/হিমেল