লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফেরদৌসী বেগম লিপি হত্যা মামলায় তার স্বামী ওসমান গণি ও বোন তাছলিমা বেগম রুমাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আবুল কাশেম চৌধুরী এ রায় দেন।
নিহত ফেরদৌসী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গনিপুর গ্রামের ডা. মো. মমিন উল্লাহর মেয়ে। অন্যদিকে, দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমান গণি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের শ্যামপুর গ্রামের হাবিব উল্লার ছেলে এবং তাছলিমা নিহতের বোন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওসমান গণি তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম লিপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। এ ঘটনার একমাস পর ২৪ অক্টোবর নিহতের বাবা ডা. মো. মমিন উল্লাহ বাদী হয়ে ওসমান গণিকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে ১৯ অক্টোবর ২০১০ সালে সিআইডি তদন্ত করে ওসমান গণি ও নিহতের বোন তাছলিমাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে শ্যালিকা ও দুলাভাইয়ের পরকীয়া প্রেমে জড়ানোর বিষয়টি বের হয়ে আসে। পরে আদালত দীর্ঘ শুনানিতে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গণির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করায় তার শ্যালিকা তাছলিমা বেগম রুমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব