বাগেরহাটে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ অন্তত ৫০ জন পথচারী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ২০ জনকে ভর্তি হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ, সুন্দরঘোনা, চাঁপাতলা, সায়েড়া, সদুল্লাহপুর ও মগরা গ্রামের একটি পাগলা কুকুর বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে এসব পথচারীকে কামড়ে রক্তাক্ত জখম করে। তবে, সন্ধ্যায় আক্রমণকারী ওই কুকুরটিকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলেছে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিনামূল্যের ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন নাঈমা ইয়াসমিন (১০), মারিয়া (৮), তানভির (৯), আলিফ (৮), জব্বার শেখ, ইসমাঈল শেখ, সাহেব আলী, সোয়েব হাওলাদার, হালিমা বেগম, ইসরাফিল শেখ, শেখ শাহেদ, ইসলাম শেখ, রহমান শেখ, নাইম শেখ ও মোতাহার শেখ। এদের বাড়ি সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা, সদুল্লাহপুর, সায়েড়া, মগরা গ্রামে।
পথচারী জব্বার শেখ জানান, রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কুকুর হঠাৎ আমাদের উপর হামলে পড়ে। ওই কুকুরটি তার সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়ে রক্তাক্ত করছে বলেও তিনি জানান।
কামড়ের শিকার হাসপাতালে ভর্তি স্কুলে পড়া শিশু শিক্ষার্থী নাঈমা ইয়াসমিন জানায়, সে স্কুল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আমার পিছন থেকে একটি কুকুর দৌড়ে এসে আমার শরীরে কামড় শুরু করে। কুকুরটি কামড়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।
পথচারী জব্বার শেখ জানান, রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কুকুর হঠাৎ আমাদের উপর হামলে করে। ওই কুকুরটি তার সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়ে রক্তাক্ত করছে। এই অবস্থায় এসব গ্রামে পাগলা কুকুরের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শেখ মুশফেকার শামস্ মেনন বলেন, বিকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগী চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মদ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুকুরে কামড়ে এদের শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এদের সবাইকে প্রতিষেধক হিসাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব