নেত্রকোনা সদর উপজেলার ধারিয়া গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি থেকে সুরমা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা থানায় খবর দিলে পুলিশ আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর সুরমার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশ আসার আগেই স্বামী সোহাগ মিয়াসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অন্যত্র পালিয়ে যায়। তবে কিভাবে সুরমার মৃত্যু হয়েছে তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ পারিবারিক কলহের জের ধরে সুরমাকে সু পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে অপ-প্রচার চালায়।
তদন্তকারী পুলিশের এস আই ত্রিদীপ কুমার বীর জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উঠোনেই লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
নিহতের পিতা মোতালিব, চাচা হেকিম ও ভাই ফারুক মিয়া অভিযোগ করেন, গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়ার সাথে সুরমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সোহাগ মিয়া অন্যান্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রাখার বিষয়টি প্রতিবাদ জানালে প্রায় সময়ই সুরমাকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিতো। গত বুধবার রাতেও সুরমা কান্নাকাটি করে তার ভাই ফারুক মিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানায়। ফারুক তাকে সকালে এসে নিয়ে আসার কথা বলে বোনকে আশ্বস্থ করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায় সুরমাকে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম