বরিশালে ভরা মৌসুমেও বেড়ে চলছে চালের দাম। জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে এক দফা প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধির পর গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই আবারও প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারন ক্রেতারা।
বরিশালের পাইকরী চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদানী করা চালের ওপর সরকার ভ্যাট বৃদ্ধি করায় কুষ্টিয়া-সাতক্ষীরা অঞ্চলের মোকামে বেড়েছে চালের দাম। ওই দুই অঞ্চল থেকে সারাদেশে চাল সরবরাহ হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে সর্বত্র।
তবে এক ব্যবসায়ী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এবারও মজুদ করার জন্য খাদ্য বিভাগের ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রম চলছে। ব্যবসায়ীরা সেখানে চাল সরবরাহ করায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা চালের বাজারে। এ মূল্যবৃদ্ধি বিপাকে ফেলেছে সাধারন মানুষকে।
নগরীর চালের মোকাম ফরিয়াপট্টিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়তগুলোতে সব ধরনের চালে প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন ৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার আঠাশ চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির পর তিন প্রকার আঠাশ চাল যথাক্রমে ৩৭, ৪০ ও ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বুলেট চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা করে। গুটি স্বর্না প্রতি কেজিতে ১ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়। বালাম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আমন মোটা ৩২ টাকার স্থলে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে। মোকামে এই দামে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে আরও ২/১ টাকা বেশী দামে চাল বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।
ফরিয়াপট্টি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাসুদ রানা জানান, গত সপ্তাহে কুষ্টিয়া-সাতক্ষীরা আঞ্চলের মোকামে চালের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার থেকে বরিশালের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও চাল দাম বেড়েছিল।
কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বরিশাল জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রনজিৎ কুমার বলেন, "মিল মালিক ব্যবসায়ীরা চালের কৃত্রিম সংকট সৃস্টি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা তাদের অধিক মুনাফার কৌশল। অথচ বাজারে প্রচুর চালের সরবরাহ রয়েছে। সরকারীভাবে বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা তদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। যার বোঝা টানতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে।"
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ তাফসীর-২০