সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত-৩১২ মহিলা আসনের সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের ছেলে রাশেদ সরোয়ার রুমনসহ তার তিন সহযোগীর নামে ফের চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী।
শুক্রবার রাত ৯ টায় সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পরপরি রাত ১০টার দিকে এমপিপুত্র রুমনের সহযোগী ইমরান হোসেন টনি (৩০) ও লক্ষীদাড়ী গ্রামের আনারুল মোল্লার ছেলে তুহিন হোসেনকে (২৯) গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এমপিপুত্র রুমনের নেতৃত্বে সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার ইসহাক গাজীর ছেলে ইমরান হোসেন টনি, একই গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন ও লক্ষীদাড়ী গ্রামের আনারুল মোল্লার ছেলে তুহিন হোসেন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের কাছে বেশ কয়েক দিন ধরে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা শক্রবার ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী মাকছুদুর রহমানের অফিসের মধ্যে তার চাচাতো ভাই ফিরোজকে আটকে রেখে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ব্যবসার ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরও জানান এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আর্জিতে চাঁদা না দিলে সিরাজুলসহ ফিরোজকে হত্যার হুমকির অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাতক্ষীরা শহরের মাগুরা এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিলনের নিকট চাঁদা দাবি, বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও প্রায় ২০ লাখ টাকার গরু লুটের ঘটনায় দায়ের কারা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এমপিপুত্র রুমন। তিন মাস কারাভোগের পর ডিসেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি। পরে আবারও তার মায়ের সেল্টারে সাতক্ষীরায় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে মাদকাসক্ত রুমন।
এছাড়া গত বছর শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের একটি রিসোট থেকে রাতের বেলায় তিন রমনিকে নিয়ে মদ্যপান অবস্থায় ফূর্তি করার সময় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হন রাশেদ সরোয়ার রুমন। এ সময় তার নিকট থেকে তার মায়ের ব্যবহারিত লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই রিসোটের পার্কিন থেকে তার মায়ের জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো বিলাশ বহুল পাজারু গাড়ীটিও জব্দ করেন পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/২৮ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল