ঝালকাঠির লঞ্চঘাটে 'সুন্দরবন-৬' লঞ্চের কেবিনে উদ্ধার হওয়া নিহত নারীর পরিচয় মেলেনি দীর্ঘ তিন মাসেও। ঝালকাঠি থানা পুলিশ ঘটনার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন থানায় ছবিসহ বার্তা পাঠালেও আজও ওই নারীর খোঁজ করেনি কেউ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারেও সারা মেলেনি কারও।
ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি সুন্দরবন-৬ লঞ্চের দুই সুকানীর কেবিন থেকে গত ২৪ নভেম্বর উদ্ধার হয় এক নারীর মরদেহ। আগের দিন ২৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে ওই লঞ্চটি। পরদিন সকালে লঞ্চটি ঝালকাঠি ঘাটে পৌঁছালে লঞ্চের সুকানী খলিল ও জালালের কেবিনে নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্টাফরা পুলিশকে খবর দেয়।
সুরতহালে পুলিশ ওই নারীর গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ সনাক্ত করে। নারীকে হত্যা করে লাশ রেখে কেউ পালিয়ে যায় বলে সন্দেহ করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে একটি হত্যা মামলা রুজু করে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন করা হয় লাশটি।
কিন্তু প্রায় তিন মাসেও হত্যার কোন ক্লু কিংবা তার পরিচয় এখনও পায়নি পুলিশ। রহস্য ঘেরা এ হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পানেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আঃ হালিম তালুকদার জানায়, পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়না তদন্ত করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। লাশটির পরিচয় পেতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত এখনো চলছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকারীদের সনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করা যায়নি বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল