কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা রানা হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম জনি নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ রঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ ঘর ও পুকুর থেকে ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল ফয়সল জানান, যুবলীগ নেতা আবুবকর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম জনি গ্রেফতারের পর পিস্তলসহ ৫টি অস্ত্র ব্যাগ ভর্তি করে লুদিয়ারার অসি পুকুরে এবং কিছু অস্ত্র তার রান্না ঘরের পরিত্যক্ত চুলায় রাখা হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সকালে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ জনির রান্না ঘরের চুলা থেকে ২টি ও পুকুরে জাল ফেলে ১টিসহ ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করে। বাকী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিএম জাহিদ হোসেন টিপুর সহযোগিতায় পুকুরের পানি সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশাকরি বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হবে। এসময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হানিফ ও পরিদর্শক (তদন্ত) শুভরঞ্জন চাকমাসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিদেশ ফেরৎ আবু বকর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রানা উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের গুর্নিশকরা গ্রামের শহিদ উল্যাহর ছেলে। এ ঘটনায় নিহত রানার মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে আ. লীগ নেতা আবদুল হাই কানু, তার ছেলে গোলাম মোস্তফা বিপ্লবসহ ১৮ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০জনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় আবদুল মজিদ ও ফারুক ভূঁইয়া জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী জনিকে গ্রেফতার শেষে এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার শান্তিশৃংখলা ফিরিয়ে আসবে। মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে বাধা দেয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার