বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কিশোরী নববধু শারমিন বেগম’র (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলায় প্রতাপবাজু গ্রামে ভাড়া নেওয়া একটি ঘর থেকে নববধূ শারমিন বেগম’র লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী নারায়নগঞ্জের আলিম উদ্দিন শাহের ছেলে রাজু মিয়া (২৮) পলাতক রয়েছে।
পুলিশের ধারনা পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেছে। জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড়ের ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম দিকে শালবাগানের পাশে কয়েক বছর আগে গড়ে ওঠা নতুন গ্রামে প্রায় ৬ বছর আগে আশ্রয় নেয় নারায়নগঞ্জের আলিম উদ্দিন শাহের ছেলে রাজু মিয়া (২৮)। তিনি ওই গ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। রাজু মহাস্থানসহ আশপাশের এলাকায় কাপড় ফেরি করে বিক্রি করতো।
কিছুদিন আগে রাজু ফেরির ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় লিপি বেগমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে রাস্তার পাশে একটি কাপড়ের দোকান দেন। দোকানে যাতায়াতের কারণে স্থানীয় প্রতাপবাজু গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে পরিচয় ঘটে। পরে তা প্রণয়ে রুপ নেয়। এর এক পর্যায়ে পাঁচ মাস আগে রাজু শারমিনকে বিয়ে করে। ওই সময় শারমিনের বাল্য বিয়ে হয়।
বিয়ের পর মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদ হতো।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায়ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। স্থানীয়দের ধারণা ঝগড়ার জের ধরে রাতের কোন একসময় স্বামী রাজু শারমিনকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিক লিপি বেগম প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো দেখে তাদের ডাকাডাকি করে। তাদের সাড়া না পেয়ে শারমিনের বাবা শহিদুলকে ডেকে নিয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা খাটের উপর শারমিনের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায়।
পরে থানা পুলিশকে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে পাঠায়।
শারমিনের পিতা শহিদুল ইসলাম জানান, রাজু ঢাকা নারায়নগঞ্জের আলিম উদ্দিন শাহের ছেলে। এই পরিচয়ের বেশি তারা আর কিছু জানেন না। ওই ঠিকানা আদৌ সঠিক কি না তাও তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাহিদ হোসেন জানান, এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ৪ মে, ২০১৭/ই-জাহান