বিদেশী ফল হিসেবে এই প্রথম মাল্টা ফলের সফল চাষ করছেন নওগাঁর পোরশা উপজেলার গবিরাকুড়ি গ্রামের আব্দুস সবুর মাস্টার। উপজেলায় প্রথম মাল্টার চাষ হওয়ায় অনেকেই তার বাগানটি দেখতে ভীড় করছেন। তার জমিতে মাল্টা গাছ রয়েছে ৪২০টি।
মাল্টার বাগান পরিদর্শনকালে সবুর মাস্টার বাংলাদেশ প্রতিদিনরেক জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের এক একর জমিতে মাল্টা গাছ লাগান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে ৪৫টি গাছ তাকে সরবরাহ করা হয় এবং বাকি ৩৭৫টি গাছ তিনি বাইরে থেকে কেনেন।
এগুলোতে কিছু দিনের মধ্যেই ফল দেখা যাবে বলে তিনি মনে করছেন। লাভজনক হলে এবং কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেলে তিনি আরো দুই একর জমিতে মাল্টা বাগান করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে মাল্টা নতুন চাষ করায় কেমন হবে তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তারপরেও নিয়মিত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী ও ফলনের জন্য অনুকূল। অতিপুষ্টি ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল মাল্টা। সাধারণত মে থেকে জুন মাস রোপণের উপযুক্ত সময়। কিন্তু পানি সেচের ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর রোপণ করা যায়। আর প্রথম বছর প্রতি গাছ থেকে ৫০-১০০টি, দ্বিতীয় বছর ১০০-১২৫ ও তৃতীয় বছর থেকে ২৫০-৩০০টি ফল সংগ্রহ করা যাবে। ফলে কৃষকেরা এই ফল চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, বারি-১ জাতের মাল্টা আমাদের এলাকায় নতুন হিসেবে আমরা পোরশায় তিনজন চাষির মাধ্যমে প্রদর্শনী আকারে রোপণ করেছি। আশা করি ফলন ভালো হবে এবং উপজেলার কৃষকেরা এই লাভজনক ফল চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন। আরো ব্যাপকভাবে মাল্টা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/৪ জুন ২০১৭/হিমেল