লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার নামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কমলনগর উপজেলা ১৪ দলীয় জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই নারী।
রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ভয়ে মামলা না করার কথা জানিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান।
লিখিত বক্তব্যে ওই প্রবাসীর স্ত্রী আরো জানান, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিলো তার। গত ৭ বছর থেকে প্রবাসী স্বামী তাকে ঘরে নিচ্ছিলেন না। বিষয়টি তিনি সমাধানের জন্য এমপির প্রতিনিধিকে অবগত করেন। সমাধানের আশ্বাসে আনোয়ারুল হক গেল বছরের ২৯মে তার লক্ষ্মীপুরের ভাড়া করা বাসায় তাকে ডেকে এনে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে আনোয়ার তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে অভিযোগ তার। এরই মাঝে তার স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর এখন ঘটনায় বিচার চেয়ে জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত নারী। এরপর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা দামা চাপার চেষ্টাসহ ওই নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ঘটনার বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক মুঠোফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি, তবে অভিযোগের কপিটি তিনি দেখেননি জানিয়ে আইনজীবী সমিতি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান, একই সাথে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নিতে বলেন তিনি।
জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটোয়ারী বলেন, এটা এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যে স্বাক্ষাতকার নিতে হবে, এটা মিডিয়ার হেড লাইন হওয়ারও কিছু নয়, সংবাদকর্মীদের অতি উৎসাহী হওয়া ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ক্যামরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন,অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এক নেতাসহ কয়েকজন আইনজীবী জানান, অপরাধী যেই হোক তার সাজা হওয়া উচিৎ, আইনজীবী হলেই পার পেয়ে যাবে তা হওয়া উচিৎ নয়।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কেউ এ ধরণের অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি, যদি আসে তাহলে অবশ্যই তাকে আইনি সহায়তা দিতে আমরা বাধ্য থাকবো।