খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন প্রধান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দুলালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের এসিড দগ্ধ মো. জমির উদ্দীন। আজ বিকালে এসিড দগ্ধ মো. জমির উদ্দীন দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যটি জমির উদ্দিনের পক্ষে পাঠ করেন তার জামাতা মো. সেলিম হোসাইন সাইদী।
এ ব্যাপারে এসিড দগ্ধ মো. জমির উদ্দীন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫এপ্রিল রাতে সন্ত্রাসী ৪-৫জন সংঘবদ্ধ হয়ে গোয়ালডিহি গ্রামের ধনেশ্বরপাড়ার ডারার পারে এসিড হামলার মাধ্যমে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত এসিডে দগ্ধ হয়ে আমি চিৎকার করছিলাম তখন আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় পাকেরহাট হাসপাতালে নেয়। পাকের হাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে দেয় পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারাও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে রের্ফাড করে দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে অসুস্থ্য অবস্থাতে গত মাসে নিজ বাড়িতে ফিরেছি।
তিনি আরো জানান, এর মধ্যে হামলার দায়ে নাম উল্লেখ্যসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এর ৫(খ)/৭ ধারায় খানসামা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২, জি আর নং-১৯। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই দুলাল। তবে মামলা করার আড়াইমাস অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত খানসামা পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করেননি। বরং ঘুষ খেয়ে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার