সম্প্রতি রাঙামাটিতে প্রবল বর্ষণে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এগুলো হলো-উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের উলুছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইন্দ্যা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওড়াছড়ি উত্তরপাড়া কেন্দ্র, যমুনাছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তক্তানালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ পাঁচটি বিদ্যালয় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই বন্ধ হয়ে গেছে শ্রেণি কার্যক্রমীও।
তবে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে খোলা আকাঁশের নিচে পাঠদান করা হলেও বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় সময় তা বন্ধ রাখতে হয়।
বিলাইছড়ি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামা চাকমা জানান, প্রবল বর্ষণে ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক বন্যার আঘাতে বিদ্যালয় পাঁচটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধই হয়ে পড়েছে। ভূমিধসে এবং বন্যার আঘাতে বিদ্যালয় পাঁচটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসে ভেঙে ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি বন্যায় ভেসে আসা পলিমাটি বিদ্যালয় ভবনে ঢুকে কক্ষগুলো ভরাট হয়ে গেছে। দ্রুত বিদ্যালয়গুলোর মেরামত ও পুনঃনির্মাণ করা না হলে এসব বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রাথমিক শিশুদের ভবিষ্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।
অন্যদিকে খবর পেয়ে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
এসময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ও ফারুয়া ইউনিয়নের হেডম্যান কালন্দ তংঞ্চঙ্গ্যাকে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পুন:নির্মাণের জন্য ১৬ বান্ডিল রঙিন ঢেউটিন ও নগদ ২৫হাজার টাকা প্রদান করা হয়। তবে দীর্ঘ একমাস ১২দিনেও সচল হয়নি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন