পাবনা সুজানগরের পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে মাছ, জাল ও নৌকাসহ ১৮ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে সুজানগর উপজেলা এলাকার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
পাবনার সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। সারা দেশে মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও পাবনার সুজানগর উপজেলার পদ্মা নদীতে মাছ ধরা অব্যাহত রাখে জেলেরা। ফলে সুজানগর পুলিশ ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তার যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৮ জেলেকে ৮/১০ মন মা ইলিশ, ৩টি নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান প্রত্যেকের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে ওই জেলেদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। জব্দকৃত মাছ মানিকদিয়ার একটি এতিম খানায় প্রদান করা হয়।
তবে সুজানগর উপজেলার মৎসজীবীরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, সরকারী আইন অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের চাল ও নগদ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত দেয় নাই। আমরা নদীতে মাছ না ধরলে খাব কি? তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে যাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করছেন, অথচ আমাদের সরকারি পাওনাদি দেওয়ার ব্যাপারে কিছুই বলছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, জেলেদের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। শিগগিরই তারা সেগুলো পেয়ে যাবেন। তবে এই প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধন করতে দেয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/৪ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল