ময়মনসিংহের ত্রিশালে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আবুল মুনসুর নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বখাটেরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা। শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে আজ ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
এতে করে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে প্রায় ২ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা প্রতিবাদ জানায়। পরে ইউএনও, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত ওই শিক্ষক বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা পাটুলী রহমত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি আরো জানান, এঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই আহত ওই শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
জানা যায়, মঙ্গলবার জেএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে পাটুলী রহমত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করার সময় কিছু বখাটে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। বিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল মুনসুরের নজরে আসলে তিনি বখাটেদেরকে বিরক্ত করতে মানা করেন এবং বখাটেদের ধমকে দেন। পরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে ১২ থেকে ১৫ জন বখাটে ওই শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সামনেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে শিক্ষার্থী-সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল হাসপাতালে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহমিনা আক্তার জানান, আহতের মুখে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি এখন আশংকামুক্ত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার