নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ১৮ বছরের কম বয়সের স্কুলছাত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হানা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক। আজ দুপুরে ফতুল্লার এনায়েনগতর ইউনিয়নরে ধর্মগঞ্জ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। কিশোরী মুন্নী আক্তার (১৪) ধর্মগঞ্জ এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে ফতুল্লা হরিহর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এনায়তনগর ইউনিয়নের মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে মুন্নী আক্তারের (১৪) সঙ্গে একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. রুবেলের (২৮) বিয়ে ঠিক হয়। আজ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিয়ে বন্ধ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে উভয় পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে সদর উপজেলার ইউএনও তাসনিম জেবিন বিনতে শেখকে খবর দিলে তিনি দুটি পরিবারকে বুঝিয়ে বলেন, মেয়েটির ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। এছাড়াও মেয়েটি শারিরিক ও মানসিকভাবেও এখনো বিয়ের উপযুক্ত হয়নি।
পরে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে উভয় পরিবার অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর নেন।
হরিহর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, আজ দুপুরে জানতে পারি তার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই জন্য সকলকে নিয়ে প্রথম আমরা অনুরোধ করি যাতে বিয়ে না দেয়। পরে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। তিনি আরো বলেন, মুন্নী ছাত্রী হিসাবে অনেক ভালো। জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এত অল্প বয়সে বিয়ে হলে ভবিষ্যতের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার