বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের মহিষকোলার বিলের একটি ঘরে ঘুমন্তাবস্থায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাজমুল সরদারকে কুপিয়ে এবং পায়ে গুলি করে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার সময় নাজমুলের কর্মচারী রসুল খলিফাকেও বেদম মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলুর নেতৃত্বে তার ভাই গৌরনদী কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু এবং তাদের সহযোগী পলাশ ও শিপনকে হামলার জন্য দায়ি করছেন আহতরা। আজ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আহত নাজমুল উপজেলার পূর্ব বেজহার গ্রামের সত্তার মুন্সির ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার মাহিলাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে মাহিলাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল রাড়ির নেতৃত্বে চেয়ারম্যান পিকলুকে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই হামলার সাথে জড়িত ছিলেন নাজমুল সরদার। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার চেয়ারম্যান পিকলু বাদী হয়ে রাসেল ও নাজুমলসহ ১২ জনের নামোল্লেখসহ ১৮জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাসেল বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল ও রসুল খলিফা জানান, মহিষকোলার বিলে তার একটি মাছের ঘের রয়েছে। ঘের পাহাড়ার জন্য রসুল খলিফা সেখানকার একটি টং ঘরে বসবাস করেন। গত মঙ্গলবার নাজমুল ওই টং ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে চেয়ারম্যান পিকলুর নেতৃত্বে পিন্টু, শিপন ও পলাশ ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তারা প্রথমে তাকে কুপিয়ে এবং ডান পায়ের উরুতে গুলি করে আহত করে। এ সময় তার কর্মচারী রসুল ডাক-চিৎকার করলে তাকেও বেদম মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তারা নাজমুলের মুখমন্ডলে চুন ঘষে দিয়ে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। ওই রাতেই তাদের উদ্ধার করে বরিশালের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের মালিক ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, রাতেই অস্ত্রপচার করে নাজমুলের দেহ থেকে গুলি বের করা হয়েছে। সে এখন আশংকামুক্ত।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া এসআই তরিকুল ২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। নাজমুল ও রসুলের উপর হামলা চালানোর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া উদ্ধারকৃত গুলি কার তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার