পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে বুধবার রাতে নূরুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবদ্ধি ব্যাক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, বুধবার রাত ১১ টার দিকে নূরুল ইসলাম স্থানীয় শ্রীকোল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দু'টি মোটরসাইকেল ৪ থেকে ৫ জনের একদল তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এম এ তালেব জানান, আহত ব্যাক্তির শরীরে ২০ থেকে ২৫ টি গুলির স্প্লিনটার আছে। তবে তিনি আশংকা মুক্ত রয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে ম্যানিজিং কমিটির সাথে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বিরোধ চলছিল। নূরুল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আওয়াল কবির জয়ের সমর্থক। স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যানের পক্ষ না নেয়ায় তাকে গুলি করা হয়েছে।
আহত নূরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে চায়। কিন্তু গ্রামের কেউ তাতে সমর্থন দেয়নি এবং তিনিও চেয়ারম্যানকে সমর্থন দেননি। ফলে চেয়ারম্যানের লোকজন তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। ফলে চেয়ারম্যানের দুই ছেলে মিলন ও মাসুদসহ তাদের কিছু অনুসারী বেশ কিছুদিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল যোগে এসে তারাই গুলি চালিয়েছে। তিনি সবাইকে চিনতেও পেরেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, চেয়ারম্যান তার পছন্দের প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে অবৈধ ভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক করতে চান। এতে গ্রামের কারো মত নেই। ম্যানিজিং কমিটিও সমর্থন দেয়নি এবং তিনি জোরপূর্বক কমিটির চারজরকে পদত্যাগ করিয়ে নিজের লোক বসানোর চেষ্টা করছেন। ফলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দুই ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও আহত ব্যাক্তির সাথে কথা বলা হয়েছে। যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যাবহার করে গুলি করেছে তাদের খোঁজা নেয়া হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার