ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুলাইমান গাজীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই সামিউল্লাহ বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, নিহতের ভাই সামিউল্লাহ বাদি হয়ে ওহাব আলী পেয়াদাকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এজাহার নামীয় একজনকে গেফতার করছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ সুলাইমান গাজীসহ কয়েকজন শোভনালী বাজারে সাহেব আলীর দোকানে ক্যারাম বোর্ড খেলছিলেন। এ সময় একটি মোবাইল থেকে কল আসায় তড়িঘড়ি করে সুলাইমান বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত প্রায় ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সুলাইমানকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে সোমবার ভোরে কৈখালি পানির ট্যাঙ্কি থেকে ১০০ হাত দূরে সলেমানের গলা কাটা লাশ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। নিহত সুলাইমান শোভনালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার