বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা। এসময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান বুলবুল।
বুধবার সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত ১৩টি গ্রামের সমন্বয় কমিটির ব্যানারে কয়লা খনি-ফুলবাড়ী সড়কের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি গেট থেকে মোবারকপুর মোড় এই প্রায় ২ কিলোমিটার মানববন্ধন করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মানববন্ধনে কয়লা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মোবারকপুর, বৈগ্রাম, কাশিয়া ডাঙ্গা, রসুলপুর, কালুপাড়া, হামিদপুর, চৌহাটি, জবরপাড়া, মহেষপুর, পাতড়াপাড়া, বাশপুকুর বৈদ্যনাথপুর, কাজিপাড়াসহ ১৩টি গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান বুলবুল, বৈগ্রাম কাশিয়াডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণ মহেশপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, চক মহেশপুরের লুৎফর রহমান, দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম রতন, আলী হোসেন ও মোবারকপুর গ্রামের গোলজার হোসেন পান্না প্রমুখ।
মশিউর রহমান বুলবুল জানান, কয়লা উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি গ্রামের ফাটল ধরা ঘরবাড়ীর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। খনির আন্ডারগ্রাউন্ডের বর্ধিতকরণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণের ফলে ঘরবাড়ীতে ফাটর ধরলে সেই ক্ষতিপূরণ যথাসময়ে দিতে হবে। খয়েরপুকুর থেকে ফুলবাড়ী রাস্তা মেরামতসহ গত ২০০৭ সালের ৫ মে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঘোষিত ৬ দফা দাবিসমূহ হলো ১৩টি গ্রামে কয়লা উত্তোলনের ফলে ফাটল ঘর-বাড়ির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণের ফলে বাড়ি-ঘরে ফাটলের ক্ষতিপূরণ যথা সময়ে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার থেকে চাকরি দিতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্তদের কোটা রাখতে হবে, ফুলবাড়ী থেকে খয়েরপুকুরহাট ও চৌহাটি থেকে ধূলা উদাল পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে হবে, বর্ষায় বড়পুকুরিয়া বাজার নিকটস্থ রাস্তা সম্পূর্ণ পানির নিচে ডুবে যায় সুতরাং বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হবে, মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠসহ পূর্বের ৬২৭ একর জমি অধিকগ্রহণকৃত সকল জমির বকেয়া পরিষদ করতে হবে, ৫ মে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পেট্রোবাংলা কয়লা খনি ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ১০ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আন্দোলনকারী নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭/মাহবুব