লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কামার হাট এলাকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীর স্ত্রীসহ ওই পরিবারের ৫ নারী সদস্যকে মারধর করে জমি দখল করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আজ দুপুরে শ্রমিকদের বিতর্কিত ওই সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ করতে দেখা দেছে। তবে থানা পুলিশ বলছে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে পুলিশ।
জানা যায়, স্থানীয় গণিপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া তার বাড়ির পার্শ্বের কামার হাট এলাকায় ১৭ শতাংশ (কোটি টাকা মূল্যের) জমির ওয়ারিশ ও খরিদ সূত্রে মালিক হিসেবে দীর্ঘ বছর ধরে ওই জমিতে একটি স-মিল ও স্যানেটারি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।
সম্প্রতি পাশ্ববর্তী চরমোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমি তাদের দাবী করে দখলের চেষ্টা করে। এর প্রেক্ষিতে গত ২ ডিসেম্বর কিবরিয়া বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামুনসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে মামলা করেন। আদালত উক্ত স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে বিতর্কিত জমির মালিকানা বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়।
কিন্তু মামুন গং পুলিশের নোটিশ ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত মঙ্গলবার থেকে উক্ত জমিতে প্রাচীর ও ঘর নির্মাণ করে দখল কার্য অব্যাহত রাখে। এসময় কিবয়িার স্ত্রী সাথী ও মা বকুলসহ ৫ নারী সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেন ব্যাবসায়ীর পরিবার।
খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং উক্ত স্থানে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়। এদিকে আজ দুপুরেও ওই স্থানে নির্মাণ কাজ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুলিশ দু’পক্ষকে নোটিশ দিয়েছে, কেউ তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার