মালদ্বীপে থাকতো জেলার কালকিনির কয়ারিয়া গ্রামের সোহেল সরদার। সেখানে কুমিল্লার মুরাদ নগরের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে প্রবাসী শিরিন আক্তারের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সোহেল। ৬ মাস আগে সোহেল দেশে ফিরে মুক্তা নামের অপর এক মেয়েকে বিয়ে করে সংসার পাতে।
এদিকে সোহেল দেশে ফেরার ৩ মাস পর শিরিন সোহেলের খোঁজে মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরে কুমিল্লার মুরাদ নগর থেকে তার মা বিধবা সেনোয়ারাকে নিয়ে কালকিনিতে আসে এবং এলাকার চেয়ারম্যানের সহায়তায় সোহেলকে বিয়ে করে তার বাড়িতে ওঠে এবং স্বামী সেহেলের অপর স্ত্রী মুক্তার সাথে এক সংসারে থাকতে শুরু করে।
পরবর্তীতে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়া শিরিনকে অনত্র সরিয়ে রেখে গত ২৯ নভেম্বর শিরিনের মা সেনোয়ারা বেগম জামাতা সোহেল সরদারসহ এলাকার নিরীহ কয়েকজনকে আসামি করে কালকিনি থানায় শিরিনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মামলা করে।
অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এসআই সঞ্জিব জোয়াদ্দার জানান, অপহরণের মামলা দায়েরের পর মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী নুরুদ্দিন আকন ও ৩ নম্বর স্বাক্ষী জাকির আকন মোবাইলে অপহৃতা শিরিন আক্তারের নম্বর মোবাইলে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কথা বলে। এতে বুঝা যাচ্ছে অপহরণ মামলাটি মিথ্যা, মোবাইল ট্রাকিং করে দেখা গেছে মামলার স্বাক্ষীরা যেহেতু অপহৃতার সাথে নিয়মিত মোবাইলে কথা বলছে সেহেতু শিরিন অপহরণের ঘটনাটি সাজানো।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি চাঁদাবাজির মামলায় অপহরণ মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী নুরুদ্দিন আকন ও ৩ নম্বর স্বাক্ষী জাকির আকনকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাদের মাদারীপুর আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় মিথ্যা অপহরণ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন