আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের জনগণ আর দুর্নীতিবাজ, দেশের অর্থ পাচারকারী, পানামা ও প্যারাডাইস কেলেঙ্কারির হোতা খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের নির্বাচিত করবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভিমখাড়া ও বিজারি দলের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। এসময় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পাশাপাশি পানামা-প্যারাডাইস কেলেঙ্কারির জন্য খালেদাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এনামুল হক শামীম বলেন, পত্রপত্রিকা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে পরিস্কার যে, বিএনপি নেত্রী একজন দুর্নীতিবাজ নেত্রী। সৌদি সরকারের তদন্তে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। শুধু সৌদি আরব নয়, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে জনগণের অর্থলুটপাট করে পাচার করেছে। এছাড়াও পানামা ও প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতেও তাদের নাম এসেছে। কাজেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে জনগণ তাদের আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাবে না। তারেক রহমানের দুর্নীতি কানাডার ফেডারেল কোর্টেও প্রমাণিত। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা আদালতে বিচারাধীন। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাবো পানামা-প্যারাডাইস কেলেঙ্কারির জন্য খালেদাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া কালকে নির্বাচন হলেও বিএনপি প্রস্তুত-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এনামুল হক শামীম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়েছেন। এবার নির্বাচনে না আসলে দলের নিবন্ধন হারাবেন।
আওয়ামী লীগ সরকার গরীব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গরীব দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখনই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। কোন মানুষ না খেয়ে মারা যায় না। শীতবস্ত্রের অভাবে কেউ মারা যায় না। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় মানে দেশের অর্থ-লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। নিজেদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়। দেশ উন্নত হয়। বিশ্বের বুকে মর্যাদা বাড়ে। আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনুন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে। দেশে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। বিধবারা ভাতা পায়, মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষ মর্যাদা পায়, ভাতা পায়। অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পায়। জানুয়ারির ১ তারিখে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা বই পায়। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনুন। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্লা, সখিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, পৌর মেয়র বাবুর রারী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদল, বাদল চৌকিদার, আওয়ামী লীগ নেতা জহির সিকদার, চেয়ারম্যানদের মধ্যে সানাউল্লাহ, আলমগীর হোসেন, এনায়েতুউল্লাহ মুন্সী, আলী হোসেন খন্দকার, শওকত বয়াতি, ডিএম শাহজাহান সিরাজ, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার, শাহ আলম, মনির হোসেন সুমন, যুবলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান জামান ফকির, সাধারণ সম্পাদক বাদল হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাদত হোসেন রিয়াত, সাধারণ সম্পাদক মোকলেচুর রহমান হিরু, মহিলা লীগের সভাপতি রাবেয়া আকতার, রাফিকউল্লাহ মুন্সী, আবু আলম মাতবর প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা