দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাপক হারে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতে গরু মালিকরা চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ঘুম রাত অতিবাহিত করছেন। এতে করে গরুর খামার মালিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতংক।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউপির বাসুদেবপুর গ্রামের পানুয়াপাড়ায় বিমল চন্দ্র দাসের বাড়ির প্রাচীর টপকে চোরেরা বাড়িতে প্রবেশ করে ২টি ষাঁড় ও ৪টি গাভি চুরি করে নিয়ে যায়। তবে ওই গরুগুলি নিয়ে পালানোর সময় পার্বতীপুর উপজেলার যশাই হাটের পাহারাদার রাত সাড়ে ৩টায় গরুগুলি উদ্ধার করে পরেরদিন গরু মালিককে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বুঝিয়ে দেন।
একই রাতে সাতনালা ইউপির তালতলা গ্রামের মন্ডলপাড়ার বিধবা তহমিনা বেগমের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ২২ ডিসেম্বর রাতে অমরপুর ইউপির কারেঙ্গাতলি বাজারের জাহিনুর আলমের ২টি বিদেশি ষাঁড়, পরের রাতে একই ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গ্রামের বাবু চন্দ্রের বাড়ি থেকে ৪টি গরু চুরি হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ফতেজংপুর ইউপির উত্তর পলাশবাড়ি গ্রামের শাহ্পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর বাড়ি থেকে চোরেরা ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ওই মুক্তিযোদ্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার এমদাদুলের ১টি গরু চুরি হয়। গত ২৮ নভেম্বর পুনট্টি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের রহমত আলীর বাড়ি থেকে ৩টি গরু চুরি হয়েছে।
মথুরাপুর গ্রামের কারেঙ্গাতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলায় চোরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। চোরের উপদ্রবের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার ওসি মোঃ হারেসুল ইসলাম বলেন, ধানক্ষেতগুলি ফাঁকা ও অত্যাধিক কুয়াশা থাকায় এবং গরু মালিকরা পুরোপুরি সচেতন না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। দিনে-রাতে গরু চোরদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন