শিরোনাম
- গাজায় গণহত্যার নিন্দা জানালেন ইসরায়েলি লেখক গ্রসম্যান
- যে কারণে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ
- রাশিয়ার কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করে যে হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
- গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মার্কিন নাগরিক নিহত
- শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টি নয়, বাণিজ্য কৌশল বদল জরুরি
- একাত্তরে শ্রেণিমুক্তির মীমাংসা ঘটেনি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ আগস্ট)
- ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছিল : নবীউল্লাহ নবী
- আপনারা রিকশা থেকে বিএমডব্লিউতে চড়লেন কীভাবে : হাবিব উন নবী
- রাজধানীতে মুখোশ পরে এসে প্রকাশ্যে মাথায় গুলি
- পিআর পদ্ধতির পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে : মির্জা আব্বাস
- খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- সাইমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজে এগিয়ে পাকিস্তান
- সমর্থকদের অসদাচরণের জন্য শাস্তি পেল পিএসজি
- মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের সতর্ক করলো হাইকমিশন
- ৫ আগস্টের মধ্যে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে: জোনায়েদ সাকি
- সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
- সন্তান ভিডিও আপলোড করলে জানতে পারবে মা-বাবা
- এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বয়স শনাক্ত করবে ইউটিউব
লক্ষ্মীপুরে মেঘনার তীরে অবৈধ সার মজুদ, নদী পথে পাচার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের নাছিরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিপুল পরিমান টিএসপি সার অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে একটি চক্র মজুদকৃত এসব সার প্যাকেটজাত করে নদী পথে জাহাজে ভরে পাচার করলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসেনি।
এ চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন কমলনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিন স্থানীয় নাছিরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে বিপুল পরিমান টিএসপি সার মজুদ রাখা হয়েছে। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক মজুদকৃত চাকা আকৃতির সার রোদে শুকিয়ে ঝরঝরে করে বস্তায় ভরছেন শ্রমিকরা। আর ওইসব বস্তা জাহাজে তুলে নদী পথে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা বলতে পারেনি স্থানীয়রা। তবে কোথায় নিচ্ছেন কারা নিচ্ছেন তা জানাতে পারেনি কেউ। ওই মাঠে এখন প্রায় ১৫শ' মে. টন সার মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত কয়েকদিন থেকে প্রায় ৪ হাজার বস্তা নদী পথে পাচার করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
শ্রমিকরা জানান, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর মোল্লা, নুরুল ইসলাম ও রব মাঝির হয়ে এখানে কাজ করছেন। ভোলার বাসিন্দা কাঞ্চন নামের চট্রগ্রামের এক ব্যবসায়ী এসব সার পাচারে মূল হোতা বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে কাঞ্চন জানান, সাগরে দুর্ঘটনায় জাহাজ পতিত হলে, ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজ থেকে সারগুলো নদীর তীরে এনে মজুদ করা হয়। এসব সার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হবে বলে জানান। তবে বিপুল পরিমান সার ব্যক্তিগত কি কাজে ব্যবহার হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।
কেউ কেউ বলছেন, এসব সার জাহাজে করে সাগর পথে নেয়ার সময় সার বোঝাই জাহাজ ফেটে যায়। পরে মেঘনার তীরে মজুদ করা হয় ওই সার। তবে মালিকানা বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় কৃষকদের ধারনা মজুদকৃত সারগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। অথচ এসব সার ফের প্যাকেট করে বাজারে বিক্রির জন্য নদী পথে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব সার কৃষক কিনে জমিতে দিলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারনা করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, সার মজুদ ও পাচারের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এসব সার কমলনগরের জন্য বরাদ্ধের নয়, এব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
বিডি প্রতিদিন/২ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর