শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। গত ক’দিনের টানা শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে, দিনাজপুর, চিরিরবন্দরসহ কয়েক এলাকার শীতের কারণে আলুক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। বাড়তি খরচ করে ফসলে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করে রক্ষার চেষ্টা করছে কৃষক।
অনেকে গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোন রকমে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। রাতে ঘন কুয়াশাগুলো বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝড়ছে। দিনের মাঝামাঝি সময় হালকাভাবে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দূর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বিপাকে পড়েছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। হাট-বাজারেও লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে।
গত বুধবার থেকে শৈত্য প্রবাহ দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবেই কাপঁছে দিনাজপুরবাসী।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের আজাদুল হক মন্ডল জানান, আজ সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, চিরিরবন্দরে ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরো বীজতলা, আলু, সব্জিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
চিরিরবন্দর উপজেলার ঈসবপুর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, সাঁইতাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক আইনুল হক জানান, শীতের কারণে তাদের আলুক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ফসলে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এ অবস্থা খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কুয়াশাজনিত আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার