ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও প্রতিনিয়ত ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। সরকারি প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বন্যায় জেলার পাঁচ উপজেলায় ১২৬টি গ্রামীণ সড়কের প্রায় ৩১৯ কিলোমিটারে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কগুলো চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
গত ৭ জুলাই থেকে ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধের ৪২টি স্থানে ভাঙন ধরলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এরপর ২৫ জুলাই থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফের প্লাবিত হয় লোকালয়। এতে চলতি মাসেই দুই ধফা বন্যাকবলিত হয় এই অঞ্চলের মানুষ।
পানি নামার পর রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও খামারগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী ও ফেনী সদর উপজেলার মোট ৩১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছাগলনাইয়ায় সবচেয়ে বেশি ১২৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনীর স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, বন্যার সময় কোনো কোনো সড়কের ওপর দিয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার বড় অংশ বিলীন হয়েছে। অনেক স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত না করলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিডি প্রতিদিন/এএম