বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শ্মশানের জায়গা অবৈধ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য উপজেলার ১৭টি সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্মশানঘাট রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল চন্দ্র দাস, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল এবং থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী জনৈক মোজাম্মেল হোসেন ওই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বানারীপাড়া পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জে.এল ৪২ নম্বর মৌজায় ১৯২ নম্বর খতিয়ানের ৬১৪ ও ৬১৫ নম্বর দাগের ১৩ শতক সম্পত্তি শ্মশান ঘাটের নামে রেকর্ড করা। ওই সম্পত্তির একাংশ দখল করে বন্দর বাজারের শাওন ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্ত্বাধিকারী মোজ্জাম্মেল হোসেন সম্প্রতি বহুতল ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। একাধিকবার নিষেধ করলেও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন তিনি। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ দেওয়া ১৭ সংগঠন হচ্ছে, বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বানারীপাড়া সনাতনী ছাত্র-যুব পরিষদ, শ্রী শ্রী রাধা মাধব নামহট্ট মন্দির ইসকন, বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন মন্দির কমিটি, বাজার হরিসভা মন্দির, রায়েরহাট সার্বজনীন শ্রী মাতা কালি মন্দির, শ্রী গুরু সংঘ, সৎ সংঘ, অবধূত সংঘ, শ্রী শ্রী মহানাম সংঘ, শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির, শশ্মান বাস্তবায়ন কমিটি, বন্ধু মহল, ডেয়ার ডেভিলস, দাসেরবাড়ী শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির এবং ঠাকুর বাড়ী সার্বজনিন দুর্গা মন্দির।
অভিযুক্ত ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি শ্মশানের সম্পত্তিতে নয়, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. সালাম ও নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে সাড়ে ৯ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। সেখানে ভবন ও প্রাচীর নির্মাণ করছেন তিনি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বানারীপাড়া বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসা একটি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছেন। জমির রেকর্ড যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ওখানে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বানারীপাড়া থানার ওসি’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার