বন্যার প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও দুর্ভোগ কাটেনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী বলদিয়া পাড়াবাসীসহ ওই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের।
গত বছরের বন্যায় সেখানকার বেশিরভাগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ঝাড়বাড়ী বলদিয়াপাড়া দিয়ে নীলফামারী জেলা যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় এখনও যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। রাস্তার দক্ষিণ পাশে বন্যার পানি যাওয়ার কারণে অনেক আবাদি জমিতে বালির স্তর পড়ে যায়। এই বালু সরিয়ে কৃষকদের পক্ষে চাষাবাদ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ওই রাস্তা ঠিক না হলে আসছে বর্ষা মৌসুমে এসব জমির উপর দিয়ে আত্রাই নদীর পানি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কোনো জমিতে আবাদ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
ঝাড়বাড়ী বলদিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. ফরমান আলী জানান, তাদের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া করতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই রাস্তাটি মেরামত না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন।
বলদিয়াপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. বজির উদ্দিন বলেন, বন্যায় বলদিয়াপাড়ার ৫০ একর জমি নষ্ট হয়েছে। আর নীলফামারী যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গেছে। প্রায় ৭ মাস পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এই রাস্তাটি ঠিক হয়নি। আবার বন্যা হলে এসব এলাকার সকল মানুষের জমি নষ্ট হয়ে যাবে।
ঝাড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মতিউল ইসলাম বলেন, ভয়াবহ বন্যার কারণে ঠাকুরগাঁও হতে নীলফামারীর যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া কৃষকের আবাদি জমি বালুর নিচে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় জমি চাষের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বালু সরিয়ে চাষ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকের জন্য। তাই বর্ষার আগেই রাস্তাটি নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব