নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রকৃতির অদ্ভুত আচরণের মধ্য দিয়ে বয়ে গেল কাল বৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। আজ সকাল ৯টার দিকে রৌদ্র ঢেকে ঘন কালো রাত নামিয়ে প্রায় ১৮ মিনিট ধরে চলে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা শিলাও পড়েছে।
সকাল সোয়া ১১ টার দিকে রাতের কালো কেটে দিনের আলো পাওয়া গেছে। এদিকে প্রকৃতির এই বৈরী আবহাওয়া বিঘ্নিত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। অন্ধকার ও ঝড়ের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে বিড়ম্বনা ও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। মেয়ে পরীক্ষার্থীরা পরিবারের কাউকে না কাউকে সাথে এনেছে। বৃষ্টিতে ভেজা পরীক্ষার্থীদের অনেককে ভেজা কাপড়েই পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। হলরুম অন্ধকার থাকায় দ্রুত মোমবাতি কিনে এনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে সহযোগিতা করেছেন অভিভাবক ও কলেজের পিয়নসহ অন্যান্যরা। অন্ধকারে ঢাকা উপজেলার অন্তর্গত মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে যান-বাহন চালাতে দেখা গেছে।
দিনের বেলা এমন ঘনকালো রাতের দৃশ্য এই প্রথম দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী নারী-পুরুষ।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোন খবর পাওয় যায়নি। ঝড়ের কারণে শুধুমাত্র বনপাড়া পৌরসভা ছাড়া উপজেলার সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে উচ্চতর গণিত ও মার্কেটিং এই দুই বিষয়ে পরীক্ষা যথাযথ সময়ে অনু্িষ্ঠত হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষরা জানান, মোমবাতি জ্বালিয়ে ও চার্জার ভাল্বের আলোতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, খোঁজ নেয়া হচ্ছে কোথাও বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে কিনা। ক্ষতি হলে তাৎক্ষণিক সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার