বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি। এদিকে সহায়তা চেয়ে চকরিয়া থানায় গেলে পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন মাজেদার বড় ভাই মো. মামুন রশিদ।
অপহৃত ওই স্কুলছাত্রীর বড় ভাই মো. মামুন রশিদ বলেন, আমার ছোট বোন বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের শহীদ আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিনিয়ত সে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যায়। বাড়ির পাশ্ববর্তী মৃত ফারুক আহামদ এর ছেলে মো. ইদ্রিচ (২২) স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে সবসময় উত্ত্যক্ত করত ও কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি আমার বোন আমাদের জানালে আমরা প্রতিকার চেয়ে ছেলের অভিভাবকদের জানাই। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং আমার বোনকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
অবশেষে গত ২৫ এপ্রিল বুধবার সকালে আমার বোন বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বের হলে পথে পানিরস্যাবিলস্থ তেতুল গাছের তলায় ইদ্রিচ ও তার সহযোগি নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আয়ুব মিয়া (৩০) আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন তাকে জোর করে মাইক্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। সে চিৎকার দিতে থাকলে বিষয়টি স্থানীয় মো. হারুণ, মো. রুহুল আমিন ও নুরুল আবছার দেখে। তারা আমাদের অবগত করলে আমরা বখাটে ইদ্রিচ এর পরিবারকে জানাই এবং তাদের সাথে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। এখনো কোন সন্ধান পায়নি। বিষয়টি নিয়ে আইনীভাবে না যেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব অনুরোধ করেন। তিনি বলেন আমি মেয়ে উদ্ধার করে দিব। কিন্তু আজ ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা বোন ফেরত পায়নি।
অপরদিকে আমার বাবা-মা বৃদ্ধ হওয়ায় আমি নিজে বাদী হয়ে সহায়তা কামনা করে চকরিয়া থানায় গত ২৯ শে এপ্রিল একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি। পুলিশ কোন সহায়তা করেনি এবং একবারের জন্য আমার বাড়িতে পর্যন্ত আসেনি।
ঘটনার পর থেকে ইদ্রিচের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলবের দুইটি ফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে চকরিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি থানার বাইরে আছি। পরে জেনে আপনাকে জানাব।
পুলিশের অবহেলার বিষয়ে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার ড. এ. কে. এম ইকবাল হোসেন বলেন, আমি দ্রুত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকরিয়া থানাকে নির্দেশ দিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/২ মে ২০১৮/হিমেল