আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়িয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ব্যাপারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে নড়িয়ার বাংলাবাজার এলাকায় নড়িয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক উজ্জ্বল মালতের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আহতদের। গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আর মনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলমগীর ও উজ্জ্বলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে হামলার সূত্রপাত। গত সোমবার রাতে আলমগীর ও মনির একটি মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার থেকে কালিখোলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক উজ্জ্বল মালতের লোকজন তাদের গতিরোধ করে। পরে এ দুই নেতাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তখন মোটরসাইকেল নিয়ে তারা রাস্তার পাশে পানিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে তাদের পিটিয়ে জখম করে।
আতদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আলমগীর ও মনিরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়।
নড়িয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, উজ্জল মালতের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। তারা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আমাদের পিটিয়েছে। আমাদের মটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
নড়িয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক উজ্জ্বল মালত বলেন, আলমগীর যখন যুবলীগের পদে ছিল তখন নড়িয়ার এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এলাকার নেতা কর্মীদের মারধর করেছে। এলাকার অনেক নেতাকর্মী তার উপর ক্ষুব্ধ। ওই ক্ষুব্দ নেতা কর্মীরা তাদের মারধর করতে পারে। এ ঘটনার সাথে আমি ও আমার কোন সমর্থক জড়িত নেই।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, হামলার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার