রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পানির প্রবাহ। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবারের বাড়িঘর। তাই দুর্যোগ এড়াতে ও অতিরিক্ত পানির চাপ কমাতে কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের ৮টি গেইট। প্রতিটি গেইটের ৬ ইঞ্চি দিয়ে ৪ হাজার ৫০০ কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফি উদ্দীন আহম্মেদ জানান, অতি বর্ষণে নামা পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে পানি ধেয়ে আসছে কাপ্তাই হ্রদে। ফলে হ্রদে অতিরিক্ত পানির চাপ বাড়ছে। তাই পানির চাপ সামাল দিতে কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৩ ফুট। হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। রুলকার্ভ অনুযায়ী চলতি মাসে হ্রদে পানির লেভেল থাকার কথা ৯৩ ফুট। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং হ্রদে অতিরিক্ত পানির চাপ সামাল দিতে কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ের ৮টি গেট খুলে ৬ ইঞ্চি উচ্চতায় সেকেন্ডে ৪ হাজার ৫০০কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। এছাড়া ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ ইউনিটের মধ্যে চারটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে ১৮০ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে অতিরিক্ত হারে পানি ছাড়ার কারণে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারি, বাঁশখালীসহ ভাটি এলাকার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান